যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবার বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমানে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবার ফেলা হয়েছে।
জর্ডানের বিমান বাহিনীর সাথে মিলে যৌথভাবে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন এমন আরও সহায়তা তারা পাঠাবে গাজায়।
বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১২ জন নিহত হলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন সহায়তার কাজে দ্রুতগতি আনবেন।
সেদিন ইসরায়েলি হামলায় আরও ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস।
বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেয়া হল যখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন যে গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সবরকম প্রস্তুতি চলমান।
বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তা শনিবার জানান, ইসরায়েল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব “অনেকটা প্রায় গ্রহণ করেছে”।
“গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে যদি হামাস নির্দিষ্ট কিছু যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়...যেগুলো হল অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দী,” নাম পরিচয় প্রকাশ না করে বলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্তকর্তা।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায় যে, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমান আকাশ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবার ফেলে গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে।
এতে আরও বলা হয়, “এই সহায়তাগুলো গাজায় আরও বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সাথে যোগ হবে সড়ক পথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা।”
এর আগে অন্যান্য দেশ যেমন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিশর ও জর্ডান আকাশ থেকে গাজায় সহায়তা ফেলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা প্রথমবার করলো।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, “বৃহস্পতিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার মানবেতর পরিস্থিতির থেকে বের হয়ে আসতে এখানে আরও বেশি মানবিক সহায়তার পৌছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে।”
কালেক্টেড :বিবিসি বাংলা