Type Here to Get Search Results !

আসন্ন রমজান মাসে বাড়তে পারে যেইসব পণ্যের দাম

 




রমজান মাস উপলক্ষে বাংলাদেশে কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়, যার ফলে এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। 2024 সালে রমজান মাসে যে সকল জিনিসের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে তা হল:


1.খাদ্য পণ্য:  - চাল, আটা, সয়াবিন তেল, চিনি - এগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকার প্রধান উপকরণ হওয়ায় চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। খেজুর, মুড়ি, বুট, ছোলা - ইফতারে এসব খাবারের চাহিদা থাকায় দাম বাড়তে পারে।

2.মাছ, মাংস এবং ডিম:ইফতার এবং সাহরির জন্য মাছ, মাংস, এবং ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়, যার ফলে এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।


3.ফলমূল:রমজানে বিভিন্ন ধরণের ফলের চাহিদা বাড়ে, যেমন- কলা, আপেল, মাল্টা, আঙ্গুর ইত্যাদির দাম বাড়তে পারে।


4.শীতল পানীয় ও পানি:ইফতারের সময় শীতল পানীয় এবং পানির বোতলের চাহিদা বাড়ে, যার ফলে এর দাম উর্ধ্বগতি অনুভব করা যায়।

5.মসলা জাতীয় পণ্য:বিভিন্ন ধরণের মসলা জাতীয় পণ্য, যেমন- গরম মসলা, মরিচ, হলুদের চাহিদা ইফতারি এবং সাহরির, রমজান মাসে দাম বৃদ্ধির প্রবণতা যেসব পণ্যে আরও দেখা যেতে পারে, তার একটি বিশদ বিবরণ হল:

6.সুইটমিট ও বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট:রমজান মাসে ইফতারের সময় বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট ও সুইটমিটের চাহিদা বাড়ে, যেমন মালপোয়া, জর্দা, ফিরনি ইত্যাদি। ফলে, এসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে।

7.মিষ্টিজাতীয় পণ্য:বাংলাদেশে রমজানে রসগোল্লা, মিষ্টি, কালোজাম ইত্যাদি মিষ্টিজাতীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যা এসবের দামে প্রভাব ফেলতে পারে।

8.ইফতারি বিশেষ খাদ্য:পিঁয়াজু, বেগুনী, চিকেন রোল, সামুচা এবং হালিম ইত্যাদি ইফতারি বিশেষ খাদ্যের চাহিদা রমজান মাসে বেশি থাকে। এসব খাদ্যের উপাদানের দাম বাড়তে পারে।

9.নোনতা স্ন্যাকস:নোনতা স্ন্যাকসের তৈরির জন্য মাঝে মাঝে বিশেষ উপাদানের প্রয়োজন হয়, যেমন ছোলাবুট, মটরশুটি, বাদাম ইত্যাদি যাদের দাম বাড়তে পারে।

10.রান্না গ্যাস ও বিদ্যুৎ:রমজান মাসে খাদ্য প্রস্তুতি বাড়ার কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে, যা মূল্য স্তরে প্রভাব

11.বোতলজাত পানি: রমজানে সময়ে দীর্ঘক্ষণ উপবাসের ফলে ইফতারে বোতলজাত পানির চাহিদা বেড়ে যায়। এর ফলে বাজারে এর চাহিদা অনুযায়ী দাম বাড়তে পারে।

12.মশলা ও রান্নার উপাদান:রমজানের সময় বিশেষ খাবারের প্রস্তুতি বাড়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের মশলা (জিরা, ধনে, হলুদ, এলাচ, দারচিনি ইত্যাদি) এবং রান্নার অন্যান্য উপাদানের চাহিদা ও দাম উভয়ই বৃদ্ধি পেতে পারে।

13.ডেইরি পণ্য:রমজান মাসে দুধ, দই, ঘি এবং অন্যান্য ডেইরি পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি বাড়ে যা এই পণ্যগুলির দামের বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

14.তৈলাক্ত খাবার: ইফতারিতে চিকেন ফ্রাই, ভুনা খিচুড়ি, সামুচা ইত্যাদি খাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পায় যা সরাসরি সয়াবিন তেল বা অন্যান্য রান্নার তেলের চাহিদা এবং দামে প্রভাব ফেলে।

15.তাজা সবজি: সালাদ, খাবার সহযোগী হিসেবে তাজা সবজির চাহিদা রমজানে বৃদ্ধি পায়, ফলে মৌসুমি সবজির (শসা, টমেটো, এবং লেটুস ইত্যাদি) দাম বাড়তে পারে।

16.ফ্রোজেন খাবার ও সেমি-প্রিপেয়ারড আইটেম:

17.খেজুর ও মধু: রমজানে ইফতারের জন্য খেজুর ও মধুর চাহিদা ব্যাপকভাবে বাড়ে। বিশেষ করে ভালো মানের খেজুরের ওপর চাহিদা থাকায় এর দাম বৃদ্ধি পেতে পারে। মধুও একই কারণে আরও বেশি মূল্যবান হয়ে উঠতে পারে।

18.চা ও কফি:রমজানের মাসে ইফতার ও সাহরি সময়ে চা ও কফির চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে এর উপর একটা চাপ তৈরি হতে পারে, যা দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে।

19.শুকনা ফল ও নাটস:ইফতার ও সাহরির জন্য আখরোট, বাদাম, কাজু, পেস্তা, ও কিসমিস জাতীয় শুকনা ফল ও নাটসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যা এই পণ্যগুলির দাম বৃদ্ধিতে যোগ দিতে পারে।

20.পানীয় ও শরবত: রমজানে রোজা রাখার ফলে ইফতারে তাজা জুস, রুহ আফজা, লেবুর শরবত এর মতো পানীয়ের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের পানীয়ের দামও বৃদ্ধি পেতে পারে।

moreNews👇


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad